From our Blog
Showing posts with label আইন কোষ. Show all posts
Showing posts with label আইন কোষ. Show all posts
01 May 2019
09 December 2018
Set off: এর অর্থ পারস্পরিক দায়শোধ
দেওয়ানী কার্যবিধির ৮ নং আদেশের ৬ নং নিয়মানুসারে লিখিত বিবৃতিতে পারস্পরিক দায়শোধের বর্ণনা দান করিতে হইবে।
৭নং আদেশে ১নং নিয়মানুসারে, যেই ক্ষেত্রে বাদী তাহার আংশিক দাবি পারস্পরিকভাবে পরিশোধে রাজী হইয়াছে বা বর্জন করিয়াছে, সে ক্ষেত্রে দাবি যে অংশ অনুরূপভাবে পরিশোধ বা বর্জন করা হইয়াছে, তাহা আরজিতে উল্লেখ করিতে হইবে।
লেখকঃ মোঃ আব্দুল হামিদ, জেলা ও দায়রা জজ ।
অ্যামিকাস_কিউরি (Amicus curiae) কি?
অ্যামিকাস কিউরি (Amicus curiae) বাংলায় বললে দাড়ায় আদালতের বন্ধু। আদালত যদি বিষয় কোন না বোঝে অথবা আরো বোঝার বা জানার থাকলে, বিব্রত হলে কিমবা প্রয়োজন মনে করলে যে কোন বিষয়ের বিশেষজ্ঞের মতামত নিতে পারে। এই বিশেষজ্ঞদের তখন আদালতের বন্ধু বলা হয়। এখন প্রশ্ন আসতে পারে এই বিশেষজ্ঞ কারা? কারা “অ্যামিকাস কিউরি” হতে পারেন? আসলে এর কোন সুনির্দিষ্ট বাধ্যবাধকতা নেই তবে, যারা যেই বিষয়ের বিশেষজ্ঞ হিসেবে স্বীকৃত, তাদের সেই বিষয়ে জানতে আদালত ডাকতে পারে। যেমন দাঁতের সমস্যায় নিয়ে কোন বিষয়ে বুঝতে আদালতের (জজ সাহেবের) সমস্যা হল তখন তিনি একজন প্রখ্যাত দাঁতের ডাক্তার কে তাকে বিষয়টি বোঝানোর জন্য এমন সাহায্য করার জন্য ডাকতে পারেন। আবার বিজনেসের জটিলি বিষয় হলে আইবি এর কোন টিচার সেই বিষয়ে বিশেষ জ্ঞানের অধিকারী হলে তিনিও অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিযুক্ত হতে পারেন।
চলুন একটা উদাহরণের সাহায্যে বিষয়টি বুঝে নেই।
ধরি, রহিম মিয়ার সন্তান হবেনা বলে তার ডাক্তার রিপোর্ট দিয়েছে, এবং এটা সবাই জানে, কিন্তু তার প্রেমিকা কিছুদিন পর গর্ভধারণ করলে। এবং এই অবস্থা রহিম কোন রকমের দায় না নিতে চাইলে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়াল। আদালতে রহিম তার কাগজ-পত্র -রিপোর্ট ইত্যাদি দাখিলের পরে আদালতের কিছু বিভ্রান্তি তৌরী হল,কিন্তু রহিমের প্রেমিকা খুব জোর দিয়েই তার দাবি করে গেল। আদালত পড়লো বিপদে কারণে তারা আইন জানলেও র্ফাটিলিটি বিষয়ে তাদের ভুল বোঝানো যেতে পারে। আবার কথা এখন বাচ্চা জন্ম না হওয়া পর্যন্ত বুঝা যাবে না বাচ্চাটির বাবা আসলে কে। কোর্ট পড়লো বিপদে, আদালত তখন ডাকল ডা. মেহেদি হাসানকে, কারণ সে পিজি হাসপাতালের র্ফাটিলিটি বিষয়ক এক্সপার্ট ও প্রোফেসার। তার মতামত বিচারকরা নেবেন বিষয়টা বোঝার জন্য। তিনি বিস্তারিত মতামত দিয়ে সব কাগজ-পত্র খতিয়ে দেখে তার মতামত দেবেন। আদালত ইচ্ছে করলে এমন এক বা একাধিক বিশেষজ্ঞকে ডাকতে পারেন এবং তাদের সাহায্য নিতে পারেন।
আইন কোষ- ১
বিচার বিভাগ হল সে বিভাগ, যা আইনের ব্যাখ্যা করে এবং আইনের প্রয়ােগ করে। বাংলাদেশের বিচার বিভাগীয় সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান— সুপ্রিম কোর্ট।
বাংলাদেশ সংবিধানের ৯৪ নং অনুচ্ছেদে সুপ্রিম কোর্ট গঠনের কথা উল্লেখ আছে। সুপ্রিম কোর্ট গঠিত হয়— আপীল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ নিয়ে ।। সংবিধানে ৯৫ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধান বিচারপতিকে নিয়ােগ দেন- রাষ্ট্রপতি। সংবিধান অনুযায়ী বিচারপতিগণ স্বীয় পদে বহাল থাকবেন— ৬৭ বছর বয়স পর্যন্ত। কোন কারণে প্রধান বিচারপতির পদ শূন্য হলে অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন— আপীল বিভাগের প্রবীণতম বিচারক। হাইকোর্ট বিভাগের রায়, ডিক্রি, আদেশ বা দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপীল শুনানীর ও নিষ্পত্তির এখতিয়ার থাকবে— আপীল বিভাগের ।। সংবিধানের ১১৭ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত হবে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল। ব্যক্তিস্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকারের সংরক্ষক— বিচার বিভাগ। সংবিধানের ব্যাখ্যা দান করে বিচার বিভাগ। নাগরিক অধিকার রক্ষায় বিচার বিভাগ যে পদ্ধতি অবলম্বন করে
ক. হেবিয়াস কর্পাস (Habeas Corpus);
খ. ম্যানডামাস (Mandamus);
গ. সার্টিওয়ারি (Certiorari) এবং
ঘ. কোয়ারেন্টো (Quowarranto)।।
Subscribe to:
Posts
(
Atom
)